• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১
logo
সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম
মৌসুম শেষ, তাই বাজারে কমে গেছে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ। সে কারণে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। এতে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তারা বলছেন, এভাবে দাম বাড়তে থাকলে সংসার চালানোই কঠিন হয়ে যাবে। এখন সরকারের উচিত হবে সবজির মতো পেঁয়াজের দামও নিয়ন্ত্রণে আনা।  ব্যবসায়ীরা জানান, কৃষকরা নিজেদের জেলাতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করেন। আর তারা সেই পেঁয়াজ কিনে রাজধানীতে আনেন। এখন মৌসুম শেষ, তাদের ঘরেও পেঁয়াজের মজুত কম। সে কারণে জেলা পর্যায়েই সংকট তৈরি হয়েছে। এ কারণে দাম বেড়েছে। তারা আরও জানান, আমদানি করা পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ ও দাম তুলনামূলকভাবে কম থাকলেও মানুষ দেশি পেঁয়াজ কিনতে বেশি আগ্রহী। এতে করে আমদানি করা পেঁয়াজ ও দেশি পেঁয়াজের দামের মধ্যে এই ফারাক তৈরি হয়েছে। রোববার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারিতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৪০ ও খুচরায় ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  এ সময় কথা হয় মগবাজার দিলু রোডের বাসিন্দা মনজুরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি এসেছিলেন পেঁয়াজ-রসুন-আলু ও কাঁচামরিচ কিনতে। তিনি বলেন, গত সপ্তাহেও ১২০ টাকা দরে দুই কেজি দেশি পেঁয়াজ কিনলাম। অথচ আজ এসে দেখি ভিন্ন চিত্র। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আজ এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে।  মনজুরুল ইসলাম আরও বলেন, গত সপ্তাহে ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ১০০ টাকা। আজ এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি। তবে এই পেঁয়াজের স্বাদ দেশি পেঁয়াজের মতো নয় বলে বেশি দাম দিয়ে হলেও দেশি পেঁয়াজ কিনি। শুধু আমি নই, আমার মতো অনেকেই এমনটা করে থাকেন।  তেজতুরীবাজার থেকে কারওয়ান বাজারে সবজি কিনতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী আল-আমিন হোসেন। তিনি বলেন, সবজির দাম আগের চেয়ে কমেছে। তবে দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়তি। পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ ও খুচরায় ১৫০ টাকা। অথচ গতকালও এই পেঁয়াজ মানভেদে বিক্রি হয়েছে ১২২ থেকে ১৩২ টাকায়।  এদিকে, বাজার তদারকিতে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বেশি দাম ও অনিয়ম দেখলেই করা হচ্ছে জরিমানা। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজার সিন্ডিকেট ভাঙার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের অস্বাভাবিক মুনাফা রোধে সরকারকে সার্বক্ষণিক সক্রিয় থাকতে হবে। আরটিভি/আইএম/এআর
২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩২

‘দেশি পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে কাজ করছে সরকার’
‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। শনিবার (২০ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী রপ্তানি বহুমুখীকরণের মাধ্যমে বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোকে আরও জোরালো ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ঢাকা বাণিজ্যমেলার মূল উদ্দেশ্য গার্মেন্টসের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে রপ্তানিকে কিভাবে বহুমুখী করা যায়। চেষ্টা করবো লোকাল যে শিল্প আছে, সেগুলোকে আরও উৎসাহিত করতে। আমাদের রপ্তানি ৬ গুণ বেড়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বেশি উৎসাহিত করে বিদেশিদের আনি না। কারণ মাসব্যাপী তারা অনেকে আসতে চান না। তবে আমাদের লোকাল ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে পরিচিত করাটাই অন্যতম লক্ষ্য। ভোক্তা অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেব মেলায় আগত দর্শনার্থীরা যেন প্রতারিত না হয়। আমাদের দেশে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের লোকজন আছে, তাদের অনেকে আসে। এবার আমরা তাদের একসঙ্গে আনার বিষয়ে উদ্যোগ নেব। ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, এবারের বাণিজ্যমেলায় দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুর, নেপালসহ বিভিন্ন দেশ অংশ নেবে। পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশীয় পণ্য রপ্তানির বড় বাজার খোঁজার লক্ষ্য রয়েছে। জানা গেছে, দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহ সামগ্রী, চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর, ফার্নিচার ইত্যাদি পণ্য মেলায় প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়